বিরষা মুন্ডার মূর্তি নিয়ে বিতর্ক অব‍্যাহত : চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোর

15th November 2020 8:24 pm বাঁকুড়া
বিরষা মুন্ডার মূর্তি নিয়ে বিতর্ক অব‍্যাহত : চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোর


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  বিরষা মুণ্ডার মূর্তি বিতর্ক অব্যাহত বাঁকুড়ায়। এবার তাঁর জন্মদিনে পুয়াবাগান মোড়ের 'বিতর্কিত' সেই মূর্তিতেই মাল্যদান করলেন আদিবাসী সমাজের একাংশ। তার আগে গোবর জল ছিটিয়ে চললো 'শুদ্ধিকরণে'র কাজ। আর এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার।

     প্রসঙ্গত, গত ৫ নভেম্বর জেলা সফরে এসে বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বর্তমানে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্ বিরসা মুণ্ডার  মূর্তি হিসেবই এখানে মালা দিয়েছিলেন। তারপর দিনই জেলা তৃণমূল ও আদিবাসী সমাজের একাংশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় এই মূর্তি বিরষা মুণ্ডার নয়। সৌন্দর্যায়নের লক্ষ্যে রাস্তার ধারে এক আদিবাসী যোদ্ধার মূর্তি তৈরী করা হয়েছে।

     এবার এদিন সেই মূর্তিটিকেই বিরষা মুণ্ডার দাবি করে তাঁর জন্মদিনে মালা দিলেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের একাংশ সহ বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার। 

    এদিন আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত সন্তোষ মাণ্ডি, ক্ষুদিরাম টুডুরা বলেন, তৃণমূল এই মূর্তি নিয়ে রাজনীতি করছে। এই মূর্তি প্রকৃতভাবেই বিরষা মুণ্ডার মূর্তি। প্রতি বছরের মতো এবছরও তাই এখানে বিরসা মুণ্ডার জন্মদিনে তারা মালা দিয়েছেন বলে জানান।

   উপস্থিত বিজেপি সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার বলেন, আদিবাসী সমাজের প্রথা মেনে পুনঃশুদ্ধিকরণ হলো। প্রতি বছরের মতো আদিবাসী সমাজের মানুষ এই মূর্তিতে মালা দিয়েছেন। যারা এই মুর্তি বিরষা মুণ্ডার নয় বলে দাবি করছেন তারা বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছেন বলেও তিনি দাবি করেন।

   
 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।